আজ সর্বত্রই নারীদের জয়ধ্বনি বিঘোষিত হচ্ছে। এতকাল যেখানে নারীরা আলোহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিলেন সেখানে আজ আলোহীন দুর্ভেদ্য অন্তরাল থেকে বেরিয়ে আলোকিত জগতের উদার প্রাঙ্গনে তাদের অবস্থান। আজ তারা নিজের যোগ্যতা ও ক্ষমতাকে অস্বীকার করেন না কেননা তারা মানসিক দাসত্বের শৃঙ্খলামুক্ত।
যে দুর্জয় চালিকাশক্তি অন্তরালবর্তী, অবরোধবাসিনী নারীকে আলোর দিকে অগ্রসর করছে তা হলো ‘শিক্ষা’। আর নারী শিক্ষার প্রসারে সরকারি বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগও এর পথকে করেছে প্রশস্ত। এলাকার শিক্ষাহিতৈষী সাবেক সংসদ সদস্য শফি আহমদ চৌধুরী ও তাঁর বিদূষী পত্নী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব লতিফা চৌধুরীর এমনি একটি মহৎ উদ্যোগের সার্থক দৃষ্ঠান্ত ‘লতিফা-শফি চৌধুরী মহিলা ডিগ্রি কলেজ।’
২০০২ সালে মাত্র ১১ জন ছাত্রী নিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হলেও আজ দেড় সহস্রাধিক ছাত্রীর পদচারনায় ক্যাম্পাস মুখরিত। কলেজের সার্বিক উন্নয়নে প্রতিষ্ঠাদ্বয়ের সর্বাধিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, পাশাপাশি নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষকদের নিরলস পরিশ্রমে বোর্ড/বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলাফলে দক্ষিণসুরমা ও ফেঞ্চুগঞ্জের মধ্যে শীর্ষস্থান অর্জন, পড়াশোনার পাশাপাশি শিক্ষানুষঙ্গিক কার্যক্রম সর্বোপরি শিক্ষার সুষ্টু পরিবেশ এর কারণে ইতোমধ্যে দক্ষিনসুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ছাড়াও গোলাপগঞ্জ, বালাগঞ্জ উপজেলার অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছে কলেজটি আজ আশার প্রতীক।
মানসম্মত শিক্ষার বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে প্রতিষ্ঠাদ্বয়, গভর্নিং বডি, শিক্ষক, অভিভাবক তথা সবার সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে। আমারা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা আধুনিক জ্ঞান, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি প্রয়োগে হবে দক্ষ, জীবন সমুদ্র সাঁতরাবার মতো জ্ঞান নিয়ে তারা কলেজ ক্যাম্পাস ত্যাগ করুক। আত্ম প্রত্যয়ী ও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ ও জাতির আর্থিক সংকটে, চরম অবক্ষয় ও বিপর্যয়ে মানব সভ্যতার রক্তক্ষরণে সর্বত্র আত্মিক প্রলেপ বুলিয়ে দেবে। তাদের মধ্যে প্রতিফলিত হউক সেই উজ্জল অবিনাশী উচ্চারণ-
“The hand rocks the cradle is the hand
that rules the world”